বরিশাল প্রতিনিধি:
বেড়িয়ে আসছে কথিত ছাত্রলীগ কর্মী দাবিদার কিশোর গ্যাং লিডার ও ভাটারখাল, কেডিসি, লঞ্চঘাটের টোকাই লিডার ‘প্রাঙ্গণ ‘ এর আসল খবর। নগরীর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ অফিসের পিয়ন পরিয়ে কখনও চাঁদাবাজি , কখনও ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদকের গাড়িচালক হিসবে পরিচয় মেলে তার। তার (প্রাঙ্গণ) দাবি, তিনি মস্ত ছাত্র রাজনীতি করতে আসা এক কিশোর গ্রুপের রিডার। প্রায়শই কেডিসি সহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকাতে দেখা মেলে তার মোবাইল চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং, মাদক সেবিদের কথিত শালিসিতে বড়বড় নীতিকথা বলতে। যেন সারা বরিশালের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেতা, সাংবাদিকরা তার কাছে জিম্মি। এই দাম্ভিকতার কারন হিসেবে সে নিজেই বলে ‘ আমার কাকার কথা ছাড়া কারও কথাই আমি মানিনা, আর শহরের সব মারদাঙ্গা সাংবাদিকরা আমার খুব পরিচিত। তাই কোনদিন খবরও কেউ ছাপেনা। ‘
এই সেই প্রাঙ্গণ, যে বরিশালে বাণিজ্য মেলা চলাকালীন সময়ে সাইকেল স্ট্যান্ড বসিয়ে ৫ টাকা করে চাঁদাবাজি করতো। যদিও সেসময় তার বিরুদ্ধে সাইকেল চুরিরও অভিযোগ রয়েছিল। বরিশালের বিভিন্ন স্থানে বীরদর্পে মাদক, চোরাই মোটরসাইকেল, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগ তো নৈমিত্তিক বিষয় তার। সর্বশেষ একজন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতার মাথায় চড়ে এসব কুকর্ম আড়াল করতে কৌশল অবলম্বন করছে এই টোকাই লিডার প্রাঙ্গণ।
ওদিকে সম্প্রতি বরিশালের সিটি কর্পোরেশন মেয়র সেরনিয়াত সাদিক আব্দুল্লাহ এর জন্মদিনের কেক কেনার কথা বলে বিনা পয়সায় সেটি হালাল করতে গেলে মারধর পর্যন্ত চরে যায় কিশোর সন্ত্রাসী প্রাঙ্গণ । কবির নামের সেই ব্যবসায়ী প্রাণের ভয়ে বরিশালের কোতোয়ালি মডেল থানায় এ বিষয়ে একটি জিডি করলেও হুমকি দিগুণ পাচ্ছেন বলে জানায় ভুক্তভোগী কবির। ইতোমধ্যে প্রাঙ্গণকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কিছু হলুদ সাংবাদিক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাঙ্গণ নামের এই যুবক মুক্তিযোদ্ধাপার্ক এলাকার বিভিন্ন ফুটপাথের দোকান থেকে জোরপূর্বক উৎকোচ উঠাতো। তাছাড়া সন্ধ্যার পরে ওই এলাকায় ঘুরতে আসা প্রেমিক যুগলদের আটকে রেখে টাকা আদায় করতো প্রাঙ্গনসহ তার সহযোগীরা। আর এইসব কর্মকান্ডের ফলে কিছুদিন পূর্বে কিশোর গ্যাং সদস্য’র তালিকায় প্রাঙ্গনসহ তার কয়েকজন সহযোগীর নাম আসে। একই এলাকার মোবাইল ছিনতাইসহ মাদকের কারবারও করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
তারপর থেকে প্রশাসনের হাত থেকে রক্ষা পেতে ১০নং ওয়ার্ড আওওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পার্সোনাল মোটরসাইকেলের চালক হিসেবে তাকে দেখা যায়। আর রাতে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ অফিসে পিয়ন হিসেবে। আর এই কাজকে পুঁজি করে প্রাঙ্গন নিজেকে ছাত্রলীগ দাবী করে ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করে বেড়ায়।
জনসাধারনের প্রশ্ন এই প্রাঙ্গণের খুঁটির জোর কোথায়? কার জোরে ওয়ার্ডের সর্বত্র নানা অপকর্ম করে চলেছে প্রাঙ্গন ?
এ ব্যাপারে ১০নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান প্রাঙ্গণ ওয়ার্ডের কেউনা। ওয়ার্ডে কতো মানুষ থাকে কতো কিছু ঘটে সবার খবর তো আমি রাখিনা। এ বিষয়ে ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলতে বলেন তিনি।
অথচ, প্রাঙ্গণ নামের এই কিশোর সন্ত্রাসী অভিযুক্ত কিশোরকে ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এর অফিসে পিয়ন হিসেবে দেখা যেত ঘটনার আগেরদিনও।
এ বিষয়ে জনসাধারন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।