নেয়ামুল হোসেন:
মায়িশা পাওয়ার প্ল্যান্ট ও আরিশা ইকোনমিক জোন নামের প্রতিষ্ঠান করেছেন রাজধানীর মিরপুর এলাকার সংসদ সদস্য আসলামুল হক।
তবে সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রশাসনের তদন্তে বেড়িয়ে এসেছে নদী দখলের চিত্র। এমপি আসলামের গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান দুটি বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদী দখল করে অবৈধভাবে গড়া হয়েছে। ৮টি সরকারি সংস্থার যৌথ তদন্ত ও সুপারিশের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। উচ্ছেদের নির্দেশও দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
জানা গেছে, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সেখানে উচ্ছেদ অভিযানে গেলে বাধার মুখে পড়ে সরকারি সংস্থা বিআইডব্লিউটিএ। এমপি আসলাম তখন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন নদীর এক ইঞ্চি জায়গাও দখল করেননি।
এ নিয়ে কম ঘোলা হয়নি জল। জমি নিজের দাবি করে উচ্চ আদালতে গেছেন এমপি আসলামুল হক। আদালতের নির্দেশে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের নেতৃত্বে সরকারি আরো ৮টি সংস্থাকে নিয়ে করা যৌথ জরিপ ও শুনানি শেষে প্রতিবেদন দিয়েছে কমিশন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাগজে কলমে পাওয়ার প্ল্যান্ট ও ইকোনমিক জোনের ৫১ একর জায়গা থাকলেও; বাস্তবে দখলে রয়েছে ৫৪ একর। যার মধ্যে ১৩ একর জায়গা পুরোপুরি নদীর মধ্যে। আর তীরভূমি ও বন্দরসীমা মিলে রয়েছে প্রায় ৮ একর। বাকি ৩৩ একর জায়গা রাজউকের ড্যাপের বন্যা প্রবণ বা ফ্ল্যাড ফ্লো জোন। যেখানে কোনো স্থাপনা করা বেআইনি।
নদী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর হক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যাচাই বাছাই ও সংশ্লিষ্ট সবার মতামতে তৈরি করা হয়েছে প্রতিবেদনটি।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক জানান, নদী রক্ষায় কারো পরিচয় মুখ্য নয়। ফিরিয়ে দেয়া হবে নদীর জায়গা।
যৌথ জরিপ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, স্বল্প সময়ের মধ্যে দখলদারকেই স্থাপনা সরিয়ে নিতে হবে। তা না হলে উচ্ছেদ অভিযান চালাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
অনি/এনএইচ/টিটি