খবর বিজ্ঞপ্তি:
ঢাকার রামপুরার ইসলাম টাওয়ার এর নবম তলায় ওয়াটার ফ্রন্ট কনভেনশন হলে বাংলাদেশের বেশ কিছু বায়োফ্লক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে , এমন কিছু প্রতিষ্ঠান এর উদ্যোগে সারা দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ চাষের বর্তমান সমস্যা এবং ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক খাতে এর উজ্জ্বল সম্ভাবনা সম্পর্কে আলোচনা হয়
এ সময় বক্তারা বায়োফ্লক প্রযুক্তির বর্তমান প্রতিবন্ধকতা, এবং ভবিষ্যতে দেশের চাহিদা মিটিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নে তথা দেশে বিদ্যমান বেকারত্ব দূরীকরণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সম্ভাবনার কথা আলোচনা করেন।
এসময় বায়োফ্লক গাইডলাইন বিডির পক্ষ থেকে সহ ব্যবস্থাপক বলেন বায়োফ্লক প্রযুক্তি মাছ উৎপাদনে নতুন প্রযুক্তি, বায়োফ্লকের মাধ্যমে উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে কাজে লাগিয়ে মাছ উৎপাদনের খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব ।
বায়োফ্লক হলো মাছের ইনটেনসিভ কালচার। যেখানে এক শতক পুকুরে মাছের চাষ হয় সর্বোচ্চ 20 থেকে 30 তম সেখানে বায়োফ্লক এ এক শতকে মাছের উৎপাদন মিনিমাম ১ টন। আমরা আশা করি বায়োফ্লক পদ্ধতি মাধ্যমে মাছ চাষের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে বায়োফ্লক সফল উদ্যোক্তা গন কিভাবে বায়োফ্লক ট্যাংক তৈরি, পানির পরিমাপ ও পরিমাণ, মাছের যত্ন , শীতকালে মাছের রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয় তার বিভিন্ন দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন।
এই অনুষ্ঠানে বায়োফ্লক উদ্যোক্তা বলেন , বায়োফ্লক প্রযুক্তি দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। ইউটিউব সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারনা দেখে থাকেন, সেক্ষেত্রে প্রচলিত ধারার বিভিন্ন পর্যায়ে অসংগতি চোখে পড়ে চোখে পড়ে । তাই আমরা একটি সংগঠন গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে আমাদের আজকের এই আয়োজন। লক্ষ্য করবেন দেশে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই খাতকে বিতর্কিত ও প্রান্তিক চাষীদের ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। ফলে উৎপাদনমুখী এই খাত তার উজ্জ্বল সম্ভাবনা হারাচ্ছে । অথচ এই বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ রপ্তানিতে নতুন সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচন করবে ,দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
যে সকল প্রতিষ্ঠানগুলো অংশগ্রহণ করেন তাদের মধ্যে অন্যতম বায়োফ্লক বাংলাদেশ। Biofloc guideline BD, বায়োফ্লক প্রজেক্ট আলোচনা ও গবেষণা । বায়োফ্লক ফিশ ফার্মিং সাপোর্ট বাংলাদেশ। এ আর বায়োফ্লক ফিশ ফার্ম। বায়োফ্লক প্রযুক্তি। বায়োফ্লক তথ্যভান্ডার। বায়োফ্লক সোসাইটি অফ বাংলাদেশ, মৎস্য কুটির , মাছ বাবা এগ্ৰো অন্যতম..
পরিশেষে সকলেই একমত পোষণ করেছেন যে , অসাধু বিরুদ্ধে লড়াই করে সঠিক পদ্ধতিতে বায়োফ্লক এ সামনে একটি সম্ভাবনা তৈরি করার জন্য সকলে একত্রিত হয়ে একটি ফাউন্ডেশন গড়ে তুলবে। যাতে প্রান্তিক পর্যায়ে কোন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত না হন।এসময় খামারিদের পরিচালকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন তাদের মধ্যে অন্যতম গৌতম সরকার , শফিকুল হায়দার, তানিয়া তামান্না, সুজন মাহমুদ, হাসিব বাবু, এনামুল হক, সানিওল ইমাম চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার এম রহমান সজীব, রাজীব আকন্দ প্রমুখ।