বরিশাল প্রতিনিধি:
সরকার সারাদেশে যখন নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানীসহ নারীর অধিকার ফিরিয়ে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ঠিক তখনি পটুয়াখালী জেলার মহিপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সোয়াইব খান মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে প্রেমিকাকে ধর্ষণ করছে। গত ৫ জানুয়ারি কুয়াকাটা হোটেল সাফাইনে এ ঘটনা ঘটে।
সূত্রে জানা গেছে, জুই, চামিলি, নিপা (১৪) ছদ্ম নাম তিন বান্ধবী ৫ জানুয়ারি পটুয়াখালী সবুজবাগ থেকে কুয়াকাটা বেড়াতে যায়। সারাদিন কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতে উপভোগ করে তিন বান্ধবির মধ্যে জুই ও চামিলি পটুয়াখালী ফিরে আসে। তবে নিপা কুয়াকাটাতেই থেকে যায়। নিপা তার মোবাইল প্রেমিক মহিপুর ছাত্রলীগ সভাপতি সোয়েব খানের আশ্বাসে কুয়াকাটাতে থেকে যায়। তারা হোটেল সাফাইনে সিট নেয় এবং শারীরিক মেলামেশা করে। এতে রক্তক্ষরণে হলে নিপা অসুস্থ হয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগ সভাপতি সোয়াইব খান প্রথমে কুয়াকাটা পরে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে উন্নত চিকিৎসা না থাকায় ডাক্তারের পরামর্শে বরিশাল শেবাচিকে নিয়ে আসে ওই ছাত্রলীগ নেতার লোকজন। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ইমারজেন্সি বিভাগ কর্তৃপক্ষ শিশু রোগী, সেক্সুয়্যাল অ্যাডাল্ট ও শক্ত কোন অভিভাবক না থাকায় ভর্তি নিয়ে অপরাগতা প্রকাশ করে। তখন মহিপুর ছাত্রলীগ সভাপতির লোকজন উপায়ন্ত না পেয়ে এক দালালের মাধ্যমে বরিশাল রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে নিপাকে ভর্তি করে।
ডা. এফ. আর খানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা সেবা দেয় রাহাত আনোয়ার হাসপাতাল। তথ্যানুসারে গত ৬ জানুয়ারি তারা চিকিৎসার জন্য আসে। যার বেড নম্বর-৯১১, নবম তলা যা হাসপাতালের রেজিস্টারে নামে লেখা হয়। সোয়েব খানের স্থলে সোহাগ খান স্ত্রীর নাম লেখা হয় নিপা খান। এদিকে এই ঘটনা বরিশাল থেকে প্রকাশিত কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকরা টের পেয়ে রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে তথ্য নিতে গেলে ছাত্রলীগ নেতা সোয়েব টের পেয়ে যায়। মিডিয়ার চোখ আড়াল করতে গতকাল সকালে হাসপাতাল থেকে সোয়েবের লোকজন নিপাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি একাধিক সূত্র নিশ্চিত করে। এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ সভাপতি সোয়াইব খান মুঠোফোনে পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে বলে আমাকে নিয়া মিথ্যা অভিযোগ উঠেছে।